Breaking News

খলিফা মোজাহার আলী খান ছিলেন ইসলামের সেবক, ধারক, বাহক ও প্রচারক | N NEWS 24



ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার ধুনটে ওলি-এ কামেল কলিকাতা, মেহেদিবাগী, শাহ্ সুফি সৈয়দ ওয়াজেদ আলী খান পীর কেবলার ইজাজত প্রাপ্ত খলিফা মরহুম হযরত মোজাহার আলী খান মোজাদ্দেদিয়া পীর কেবলা  স্মরণে আগামী শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ৬৮তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। পাক দরবার শরীফ বিষ্ণপুর খান বাড়ীতে অনুষ্ঠিত ওরশ মাহফিলে ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন সেখেের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাসানুল করিম পুটু।

জানা যায়, ভারত উপমহাদেশীয় বিভিন্ন ধর্ম অধ্যুষিত এলাকায় ইসলাম ধর্মকে ধারন, ইসলামের শিক্ষা জনমনে বিস্তরণ ও  ইসলাম ধর্মের প্রচারনার লক্ষ্যে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন মাইলকে মাইল, দেশ থেকে দেশান্তরে।অনেক সাধনা ও ত্যাগ তিতিক্ষার পর ১৯৩৭ সালে সন্ধান পান ভারতের কলিকাতার মেহেদীবাগী শাহ সূফী সৈয়দ ওয়াজেদ আলী খান, মোজাদ্দেদিয়া পীর কেবলার। মোজাহার আলী খান তাঁরই ইজাজত প্রাপ্ত খলিফা নির্বাচিত হয়ে ইসলাম ধর্ম প্রচারকে আরো গতিশীল করেন। ইসলামের দাওয়াত মানুষের কর্ণকুহরে পৌঁছাতে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদীর্ঘ পথ। মোজাহার আলী খান ইসলাম ধর্মের বার্তাবাহক ও ইসলাম  ধর্ম বিষয়ে বিশেষ পান্ডিত্য অর্জন করায় তাঁর হাতে বহুসংখ্যক মানুষ বায়াত পড়ে ইসলামের ছায়াতলে এসে জীবনের আমূল পরিবর্তন করেছেন। তিনি তাঁর শিষ্য-ভক্তদের  আল্লাহ ও রাসূল (সঃ) এর পথ দেখানো ও পাওয়ার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ইসলামিক শিক্ষা দিয়েছেন। খলিফা মোজাহার আলী খান পরবর্তীতে তাঁর তিন পুত্র  মহির উদ্দিন খান, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা তোফাজ্জেল হোসেন খান ও তছির উদ্দিন খানকে নিয়ে তাঁর ইসলাম ধর্ম প্রচার কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সমৃদ্ধিময় করে তোলেন। তাঁর মেজো পুত্র আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন খান ইসলামিক বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিশেষ পান্ডিত্য ও জ্ঞান অর্জন করায় মোজাহার আলী খান তাঁর পরবর্তী খেলাফতী দায়িত্ব মেঝো ছেলের উপর অর্পণ করেন এবং ইসলামের দাওয়াত সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। আলহাজ্ব হযরত মাওলানা তোফাজ্জেল হোসেন খান তাঁর বাবার উত্তরসূরী হিসেবে ইসলামিক পান্ডিত্য দিয়ে অদ্যবদি ভক্ত-শিষ্যদের মাঝে ইসলামিক দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। খলিফা মোজাহার আলী খান তাঁর ভক্ত-শিষ্যদের ধর্মীয় মিলনমেলা হিসাবে নিজ বাড়ীতে গত ১৯৫৭ সাল থেকে প্রতি বছরের ফাল্গুন মাসের প্রথম শুক্রবারে ওরশ মাহফিলের আয়োজন করতেন। ইসলাম ধর্ম প্রচারক মোজাহার আলী খান ১৯৭২ সালে  ৮৫ বছর বয়সে পরলোক গমন করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে বগুড়ার ধুনটে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের খান বাড়ীতে পরবর্তী উত্তরসূরীরা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা তোফাজ্জেল হোসেন খানের তত্বাবধানে ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের সহিত প্রতিবছরের ফাল্গুন মাসের প্রথম শুক্রবার পবিত্র ওরশ শরীফ পালন করে আসছেন।

পবিত্র ওরশ শরীফের বিষয়ে মোজাহার আলী খান সাহেবের বড় নাতি  আয়নাল হক খান জানান, দীর্ঘ ৬৮ বৎসর যাবৎ আমার দাদার আমল থেকে ওরশ মাহফিল হয়ে আসছে। আমার দাদা মোজাহার আলী খান মানুষের মাঝে ইসলামের দাওয়াত দিতেন, দূর দূরান্তে তার অনেক ভক্তবৃন্দ ছিল, আমার মেজো চাচা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা তোফাজ্জেল হোসেন খান খেলাফতী দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ায় পরবর্তীতে সুনামের সহিত বিভিন্ন এলাকার ভক্ত- শিষ্য ও সাধারণ মানুষের মাঝে ইসলামী দাওয়াত কার্যক্রম অদ্যবদি চালিয়ে আসছেন। ভক্ত-শিষ্য ও এলাকাবাসীদের নিয়ে প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম শুক্রবার আমাদের খান বাড়ীতে পবিত্র ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসী অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত বিষ্ণুপুর খান বাড়ীতে বাৎসরিক পবিত্র ওরশ মাহফিলে অংশগ্রহন করেন। এলাকাবাসী নিজ গ্রামের এই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিবছরের ফাল্গুন মাসের অপেক্ষায় থাকেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ইংরেজী সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮-ই ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রোজ-শুক্রবার  বিষ্ণুপুর পাক দরবার শরীফে পবিত্র ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

No comments

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন | N NEWS 24

  গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচা...