Breaking News

যশোর চাঞ্চল্যকর গৃহবধু জিনিয়া হত্যা মামলায় দেবরের মৃত্যুদন্ড রায় | N NEWS 24

  


উৎপল ঘোষ,ক্রাইম রিপোর্টারঃ

যশোর বাঘারপাড়ার চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যা মামলায় দেবর  শাহাবুদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

 উক্ত মামলার অপর দুই আসামি নিহতের স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে।৩০ জুন ২০২৪ খ্রি: অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়ার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারেফের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। হত্যার পরিকল্পনাকারী নিহতের স্বামী ও মদদদাতা শাশুড়ি খালাস পাওয়ায় রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। উচ্চ আদালত খালাস পাওয়া দুইজনের নিশ্চিত সাজা দেবে বলে তিনি আশাবাদী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ঝিকরগাছার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে জিনিয়া ইয়াসমিন তুলিকে বিয়ে করেন বিমান বাহিনীর কর্পোরাল জুলফিকার আলী। জুলফিকার আলীর ছোট ভাই শাহাবুদ্দিনও বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তুলি তার দুই ছেলে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি ছিল। এ মাসে তার দেবর শাহাবুদ্দিন এক মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। জুলফিকারের দ্বিতীয় বিয়েতে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল। এ ঘটনায় প্রায় তুলিকে মারপিট করত তার শাশুড়ি ও দেবর। ১৩ এপ্রিল নাতি ছেলে অসুস্থ সংবাদে তুলির পিতা তার শ্বশুর বাড়ি যায়। এদিন সন্ধ্যায় তুলি বারান্দায় বসে ছিল। এ সময় শাহাবুদ্দিন বারান্দায় এসে তুলিকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মধ্যে ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে। তুলির চিৎকারে পাশের রুমের উপর দিয়ে যেয়ে তুলির পিতা শহিদুল ইসলাম তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এরমধ্যে ঘাতক শাহাবুদ্দিন ও তার শাশুড়ি পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তুলিকে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে যশোর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম শাহাবুদ্দিন ও তার মা ফরিদা বেগমকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্বামী, দেবর ও শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম।

দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত শাহাবুদ্দিন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে।

No comments

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন | N NEWS 24

  গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচা...